কি বুদ্দি আগামো? ক্যাংকরি কি করমো?



ফারুক সাদিক
হামার ওম্পুরিয়া বুলি জুদা এ্যাকনা বুলি বাংলা হাতে, সিল্লা আও পুরান হয়া দুনিয়াইর সগায় স্কীকার করে আর লিঙুইস্টিকসের সৌগ পন্ডিতের ঘরে আইজ মানে বলে হামার বুলিকোনা বাংলা নোমায়, জুদায় আরেকনা বুলি। খালি জন্তনা হামার বাংলাদ্যাশ আর য়েন্ডিয়ার বাঙালি ইন্টেলেকচুয়ালের ঘর, তারে সতে হামার বাংলা শিক্কাত শিক্কোত কত্তেক মানষিক ধরি হ্যানে। এমা আইজও পরি আচে হম্বুকালতে, কদ্দিনে যে হম্বুযুগ চুতুরি গেইচে এমা এ্যালাঙ ট্যারে পায়নাই। সেইতকনে পুরান ভাঙুরি লিঙুইস্টক্স আর হিস্টুরির ফ্যালে দ্যাওয়া থিউরি এমা জোজে, জিল্লার এ্যালা চইলতে নাই। তাক জুজুক ওমা।
কতাকোনা হইল কী, হামা যায় যায় জানি আর মানি-যে হামার বুলি কোনা জুদায় আর এ্যাকনা বুলি-তায়ও বোল কবার পাইনা সৌগঠে, সৌগ জাগাত। এইনেন্তিন হয়চে ক্যানে তা? খালি কি হামার “মাওয়ের বুলি থুইয়া বাংলা বুলিক ধরি খদ্দরোলোক হবার আল”, নাকি ফির আর কোন?
যদুকাল তোমা সিদায় দেকির চান, তা বিষয়টা এইনেন্তিনে নাগে। কিন্তুক ভাল করি এ্যানা হাস্তে যদুকালে দেকিমেন মেই ভ্যাজাইলকোনা অইন্য জাগাত। ক্যামন?
এই মনে করো মুই হামার বুলি নিয়া বিরাট এ্যাকান এ্যাকাডেমিক য়িসাচ* পেপার আচে অস্টোলিয়ান ন্যাশনাল য়ুনিভাসসিটির পোরবেছার শ্যাথু ডব্লু টুল্মিনের। অইকান ট্রান্সলেট করির পাইলে হামার ঢেইল্লা ওপকার হইবে। ওইকানত টুলমিন এ্যাকেলে হুবাহুর পরমান করি দ্যাকাইচে, যে হামার বুলিকোনা নোমায় হেন্দিও নোমায়, অহমীয়াও নোমায়। হামাার বুলি একনা জুদা, ব্যাগোল বুলি। এই বইকোনাত খালি যে টুলমিন এই কতায় পরমান কইচ্চে তাকে বোল নোমায়, ওমা আরও দ্যাকে দিচে, যে বলে বাংলা ভাষায় পন্ডিত যিল্লা আচে- সুনীতকুমার চট্রোপাধ্যায়, ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ডক্টর সুকুমার সেন, ডক্টর মুহাম্মদ এনামুল হক- এক্য কতায় যিল্লা মানষির অদ্দা দিয়া বাঙলা এ্যালায় ঘর হামার বুলিক ওমার বাংলার “ডায়ালেক্ট” বা ওপভাষা/ আঞ্চলিক ভাষা” কবার চায়- উল্লার সগারে থিউরীতে গন্ডিগোল আচে। ভূয়া যুক্তি আচে ঢেইল্লা। উল্লা এ্যালা খাটেএ না।
তা এই বইকান মুই আর মোর এ্যাক ছোটভাই, আরিফ রহমান- হামা দোনে ভাইএ আগোত বাংলাত করিম? মুই তো চাইলেএ ওম্পুরিয়াত করির পাঙ? মুই কাম শুরু দিনুঙ। দুই কোদাল পারি দ্যাকঙ তা মোর গাওকাল খসমসয়ায়।
ক্যানে? ভাইয়ারঘর, এই ক্যানে কতায় ঢেইল্লা মানো। ঢেইল্লা আও। হ্যা।
মুই যে হায়পোত খাঙচে এই বইকান হামার বুলিত অনুবাদ করির যেয়া- তায মেন কারণ কি তাক জানেন? মেন কারণ হয়চে হামার বুলিত কায়ো কোনওদিন লিঙুইস্টিক্সের চর্চা করে নাই। না করি যে সমস্যা কোনা হইচে- সেকেনা হইল সউগ বিষয়েরে একটা নেজের ভাষা থাকে। এ ভাষা মানষিক ভাষার নেন্তিন নোমায়। এ ভাষা গেয়ানের অই শাখা বা হামার ভাষাক যাক ফ্যাকা কয়- সেই ফ্যাকা বা শাখার নেজের ভাষা। মনে কর noun হইল   Grammar একটা বিষয়। noun দিয়ে কি বুজাইমেন Grammar সেটা ঠিক করি দিচে। হামার সেই তকনে কই Grammar এর noun বলতে বুঝায় কোনো কিচুর নাম। এই য্যাকনা বাংলা ভাষার চর্চা শুরু হয়। এমা স্যাকন Grammar এর নাঁও দিলে “ব্যকরণ”। noun আর এর নাম দিলে “বিশেষ্য”। অঙকরি যদুকাল আগানা- তাহলে হাামর বুলিত য্যাকন হামা লিঙুসিটিক্স বা গ্রামার চর্চা করমো-স্যাকন হামার গ্রামার ওক কি কমো? নাউন ওক কি কমো? এইলা হামা কবার পাইচিনা। ক্যানে? কারণ হামার বুলিত হামা আগোত গ্র্যামার বা লিঙুইস্টিক্সের চর্চা করি নাই। তাহলে হামার যে ছাওয়াপোয়া গ্র্যামার নিয়া কাম করিবে- অয় হামার বুলি দিয়া সউগ সমায় ক্যাঙকরি আও করিবে? হামা তো গ্র্যামার এর ভাষাক হামার ভাষাত আনির পাইনাই। গ্র্যামার এর ভাষাক হামার ভাষাত আনির গেইলে হামাক গ্র্যামার বা লিঙুইস্টিক্সের সউগ হামার ভাষাত চর্চা শুরু করির নাগিবে, হামার ভাষাত এইলা গেয়ানের “পরিভাষা” তৈয়ার করা নাগিবে-সেটা হামারে নেন্তিন করি। মানে হামার বুলির নেজের নিয়াম দিয়া হ্যানে। বাঙলা বা ইঙলিশ থাকি ধার করিয়া ফির নোয়ায় বোল?
এইনেন্তিন যায় ইঞ্জিনিয়ারিং ধরি কাম করে, যায় ফিজিক্স ধরি কাম করে, ম্যাথেটিক্স ধরি কাম করে- অয় আইজ জাইলেও চাইলেও মাওয়ের বুরিত অর সউগ আও করির পায়না। ক্যানে? হামা এ্যালাং হামার বুলিত ইল্লা বিষয় শিক্কা দ্যাওয়াও শুরু করি নাই, চিন্তা করাও শুরু করি নাই। এইলা শুরু কইল্লে ছোয়াপোয়ার ঘর য্যাতয় জানুক ব্যালে হামার বুরি বাংলা নোমায়-ওমা বাংলা ছাড়ি হামার বুলিত আও করির পাইবেনা সউগ সমায়। সেইতকনে, গেয়ানের, বিজ্ঞানের, সমাজবিজ্ঞানের-সউগগিলা ফ্যাকাতেএ হামার বুলিত চর্চা শুরু হবার নাগিবে। করির নাগিবে। একিনায় হইল মেন কাম।
তোমরালা ফম করি দ্যাকো তো, হামার বুলি কোনা কিষষি কাম বাড়িঘরের কাম বাদে আর কোন কামত হামা ব্যবহার করি? বা কইচ্চেনো। কোনওদিন করা হচুলো কি? কায়ো করার** পাইমেন? না মোর কতাটা বোজেন নাই তোমাল্লা?
মুই কবার চাংচে-মনে করো হামার বুলি দিয়া কি কায়ো সাইন্সের চর্চা কইচ্চেলো কোনওদিন? নাপাজোকার হামার এ্যাকনা নেজেস্ব পদ্ধতি আচে- সেকিনা বাদ দিলে তো ম্যাথেম্যাটিক্সতও হামার বুলি দিয়া চর্চা হয়নাই। হচলো? লিঙুইস্টিক্সের চর্চা হচিলো হামার বুলিত? ফিলোসফির চর্চা? বা মনে করো হিস্টুরি, সোশ্যাল সাইন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং- ইল্লার চর্চা হচলো হামার বুলিত? হয়নাই বোল।
এইল্লার চর্চা হামার দ্যাশত হয় বাংলা ভাষা দিয়া, নাহয় ইংলিশ ভাষা দিয়া। হামার মাওয়ের যে ভাষা, বা বাংলা বাদ দি আরও যিল্লা ভিন ভাষা আছে বাংলাদ্যাশত- কোনওটাতেএ বোল জ্ঞানের, বিজ্ঞানের, দর্শনের, কলার, শিল্পের- চর্চা হয়নাই। না হওয়াতে যেটা হইচে-হামা হামার ভাষা কবার পাই ঠিকে, কিন্তুক  হামার ভাষা দিয়া হামা বড় বড় চিন্তা করিরও পাইনা, আর উলা চিন্তা পরকাশ করিরও বোল পাইনা। একটা ভাষাত আও করা আর অই ভাষাত চিন্তা করা এ্যাক জিনিস নোমায়।*** চিন্তার ভেতরেরও চিন্তার ভাগ আচে। হামার হামা কিষষি কাম আর আর বাড়িঘরদুয়ারের কাম ছাড়া আর কোনও কামের চিন্তার করিনাই। সেইতকনে হামার মানষিক হামার বুলি দিয়া কিষষি নিয়া আলাপ করির নাগে দিলে খিব পাইবে, কিন্তুক লিঙুইস্টিক্স ধরি আলাপ করির নাগে দিলে হায়পোত খাইবে।
আরও আচে। একটা ভাষায় গহনাগাঁটি হয়চে উয়ার লিটরেচার। তা সেকিনা যদুকাল হামার শকশকা থাকে- তাহলে হইবে? মানুষ সুক্কত থাউক, দুক্কত থাউক, ঞাসিত থাউক, খিয়ালিত থাউক, খিয়ালিত থাউক, পেমত থাউক, যন্তনাত থাউক- অয় যদুকাল সৌগ আবস্তাতেএ নেজের মাওয়ের বুলি দিয়া সউগ পরকাশ করির পায়-তাহলে অয় পরি গেইলেও অন্য বুলি কইবেনা। হামার নাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঢক কবিতা, নাই জীবনানন্দের ঢক কবিতা, হামার নাই বন্দোপাধ্যায়ের ঢক উপন্যাস-ছাওয়ার ঘর কি পড়িবে? কি দিয়া সুক্কক সেলেব্রেট করবে? কি দিয়া দুক্ক পাশুরিবে? এইলা করির নাগিবে। হামার লিটরেচারের মহাজাগরণ দরকার।
হামার ফিলম কোটে? এক এমএ মজিদ ছাড়া আর কায়ো হামার বুলিত ভিডিও ব্যাকায়নাই। হামার ফিল্মত যদুকাল হামার জেবন জাগা না পায়- মানুষ যদুকাল বাংলা হেন্ডি আর ইংলিশ ফিল্মতে বিনোদন পায়। তা অয় হামার কোন কামত নাগাইবে? হামাক ফিল্ম করির নাগিবে। বিরাট বড় বড় ফিল্ম। 
হামাক আর্টত নাগিবে। হামাক স্থাপত্যবিদ্যাত আগের নাগিবে। হামাক নাটকত আগের নাগিবে। হামাক পেইন্টিংত আগের নাগিবে। ভাষা বাঁচে মগজত। মগজের এ্যামন কোনও খোরাক নাই, যেই খোরাক হামার বুলিত তৈয়ার হয়না- সেই আবস্তা করির নাগিবে।
একিনা হইল মেইন কাম। হামাক আর্ট, কালচার, লিটরেচার, সাইন্স, কর্মাস, সোশ্যাল সাইন্সেস, ফিলোসফি, হিস্ট্রি, এ্যানেথ্রাপলজি-সউগ হামার বুলিত চর্চা করা শুরু করির নাগিবে। তাছাড়া হামার ছাওয়ার ঘর বাংলা ছাড়ি হামার বুলিত আও করির চাই আর পাইল-হইবেনা।
হায়দুনিয়াইত যেতুলা গেয়ানি বইস্তা আচে-সউগ আনি হামার বুলিত অনুবাদ করির লাগবে। আইজকার হিব্রু ভাষাত, ইংলিশ ভাষাত, ফ্রেঞ্চ ভাষাত, জার্মান ভাষাত দুনিয়াইর সউগ গেয়ানে নুকি আচে। মানে এইলা ভাষাত সউঞ্জুলা গেয়ানেরে বইপাতি আচে। হামা যদুকাল এই সউগগিলা গেয়ানের বইপাতিক হামার বুলিত আনির পাই-হামাক কায়ো খামে খুইর পাইবেনা আর। কাম কঠিন। কিন্তুক করিয়ে লাগিবে।
এ্যানা চিন্তা করো। হিব্রু ভাষা মরি গেচিলো। আইজ হিব্রু দুনিয়ার সৌগচেয়া শক্তিশালী ভাষা। এক কোটিও হিব্রিভাষী নাই দুনিয়াইত-অথচ ১৫৩ জন নোবেল পাইচে এই হিব্রিভাষীর ঘরেঠে থাকি। মিচ্চায় এ্যাকেনা রাষ্ট্র ইসরাইল-তাক এত চেষ্টা করিয়াও কায়ো গোপত ফ্যালের পায়চেনা-তার মেন কারণ দুনিয়াইর যত বইপুস্তক আচে, গেয়ান, গেয়ান আছে এমরা সৌগলিলায় আগত হিব্রুত ট্রান্সলেট কইচেছ। তারে গাছত শুরু কইচ্ছে জ্ঞানসাধনা, মাওয়ের বুলিত। আইজ ওমা দুনিয়ার শক্তিশালীতম জাতি। 
হামাক অংকরি আগের নাগিবে। এইলা করির তকনে যে রাজনীতি দরকার, যে সংগঠন দরকার, যে আন্দোলন দরকার-সিল্লা শুরু করির নাগিবে অচিরেই। সগারে ভাল হোক।
“হামার বুলিত বাংলা র দিয়া যে ধ্বনি বুজায়, আর য় দিয়া যে ধ্বনি বুজায়-দুইটা এ্যাকে মিনিং বিয়ার করে। সেইতকনে হামার বুলিত এ্যামন এ্যাকনা লেটার লাগিবে-যেকেনা হ্যাল্কায় বাংলা র আর বাংলা য়- দোনোটাকে রিপ্লেজেন্ট করে। কিন্তক হামা এ্যালাং হামার লেটার, এ্যালফাবেট খাড়া করির পাইনাই দেকিয়া ইেঠে র উচ্চারণ হইবে অইঠে র আর যেইঠে য় উচ্চারণ হইবে আইঠে য় এ কইচি।
“য কোনওঠে ব থাকে, কোনওঠে য় হয়া যায়। ম’র বেলাতও এ্যাকে কথা। আরও ফির কি-হামার তিনটা র ড়. ঢ দরকার নাই। একটা হইলেএ হয়। তিনটা শ ও না নাগে হামাক। ম কোনওঠে কোনওঠে ন এ থাকে, কোনওঠে য় হয়া যায়।
মোটকথা হয়চে বাংলার বর্ণমালা দিয়া হামার পোষাইবেনা। হামাক বর্ণমালা গনের লাগিবে।

(আও পত্রিকায় পাঠানো লেখা থেকে)

Post a Comment

0 Comments