হামার প্রবাদ ০১


১। হাতত আরশী কুয়াত ভূলকী। হাতত আয়না তুইয়া কুয়াত ভুলকী দেয়। সহজে লভ্যে উপেক্ষা প্রদর্শন। 

২। কুঁতিয়া মইল দ্যাইবকি, নাম পাড়ায় যশোদা রানি। কুঁতিয়া দৈবকী কৃষ্ণক জনম দেয়, কৃষ্ণর মাও হয় যশোদা। যাই কষ্ট করে তার নাম নাই।

৩। পোশা শারো চক্ষে ঠোকায়। শারো পখিক যতই আদর করি বরো করো তাই চখত ঠোকর দিবে। যাক দুদ কলা খোয়া মানুশ করব্যান তাই তোমার খতি করবে।

৪। যাবৎ না পায় পরের বেটি, কান্দে ভারে উবায় মাটি। বেটির বিয়া না হওয়ার আগত কান্দে মাটি উবায়। বেটিক ব্যাচে খাইলে কান্দ খালি হয়। 

৫। পাঁঠার পরাণ যায়, খাওয়াইয়া সোয়াদ পা পায়। পাঁঠার পরাণ বদ করিয়াও খাওয়াইয়ার পরাণ ভরে না। কয় সোয়াদ হয় নাই। ফাও খায়া কয় খাওয়া ভাল হয় নাই। 

৬। যার শির, তার গর্দান। যামার মাতা তামার গলা।  যামার মাতা তামার ব্যাথা। অন্য কাইও আসি মাথা ঘামাইলে এইকনা আও।

৭। মরাক মারিস ক্যানে, কতা কয় না ক্যানে। মরা মানশক চুপ থাকা দ্যাখিয়া ডাঙ্গাডাঙ্গি করা। দুরবলের উপরা সবলের জুলুম।

৮। বান্দিয়া মারে সয় ভালো। কাকো বান্দি ডাঙ্গাইলে এমনি সইযযো করে।

৯। মরিয়া যায় রাণী, তেঁও ছাড়েনা দাঁতের কাণী।  রাণী মরব্যার ধরছে তেঁও দাঁতের কামড়ানি ছাড়ে না। মানশের খারাপ স্বভাব কখনো যায় না।

১০। বারো নাতি তেরো পুতি, তেঁও বুড়ার অধোগতি। মেলা বেটা-নাতি-পুতি থাকার পরেও বুড়ার অধোগতি কমে না। কপালত যা আছে তা কাইও ভাঙব্যার পাবারনয়।


হামার বাও/জরীফ

Post a Comment

0 Comments