ঘরের লক্ষ্মী



বিপুল রায়
বাপের একমাত্র বেটি উর্মিলা। হবার পারে বাপ গরীব, কিন্তু বাপের ঘরত উয়ায় একজন রাজকুমারীর চাইতেও কুনো অংশে কম না হয়।

          রূপে উর্মিলাক হার মানাবে এমন চেংড়ি খুঁজি পাওয়া মুশকিল।  উয়ার রূপের বাহাবা না দিলে হয়তো ভুল হবে। কাজ-কর্মেও দক্ষ। হাঁড়িবাড়ি থাকি দোলাবাড়ি-- সব ধরনের কাজোতে ওস্তাদ। তবে, সমস্যা খালি একটায়-- অশিক্ষিত! এমন রূপসী চেংড়িটা যুদি বই পড়িল হয়-- তাহলে হয়তো উয়ার ভবিষ্যৎটা জ্বলোলোই হয়া থাকিল হয় জীবনতক। অভাবের কারণে প্রাইমারী স্কুলের গোন্ডি না টপকাইতে  পড়াশুনাত ইতি টানিসে!

          রূপের বাহাবা শুনিয়ায় প্রফেসার শঙ্কুনাথ ঘটক সহ বিয়ার প্রস্তাব ধরি আসিল। কি অপরূপ রূপবতী-- সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নিজে হাতে গড়ে দিয়া গেইসে হয়তো উর্মিলাক! উর্বসী-মেনকা-রম্ভাও হয়তো হার মানিবে এই রূপে! এমন রূপসী ইয়ার আগত শঙ্কুনাথের নজরত পড়ে নাই কুনোদিন। সেদিনে যুদি বিয়ার দিন-তারিখ পাকা হয়-- তাহলেই হয়তো সবথাকি বেশী ভাল হয়। কিন্তু, প্রফেসার মানষি-- মান-সন্মান বুলিও একটা জিনিস আছে। চট-জলদি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা শোভা পাবে না উয়ার। তায়, মনটাক বান্ধি থুইল।

          শঙ্কুনাথ এই কাজটা চুপচুপে করাতে পশুপতি সেদিন শুনে নাই। বছর দুই আগতে হাই স্কুলের হেড মাস্টারের পদ থাকি অবসর নিসে পশুপতি। এই বয়সে খানেক আড়াম দরকার।

          ঘটক মশাই সুসংবাদ ধরি আসিলে শঙ্কুনাথ‌ আনন্দে উল্লাইমাথা! আচমকা এই খবরটা শুনি খটকা নাগিল পশুপতির মনত। “দিনকাল কি এমনে খারাপ আসিল যে বেটার বাদে ছাওয়া (চেংড়ি) দেখার অধিকার বাপেরও নাই! দেখা-দেখি তো অনেক দূরের কথা, অন্ততপক্ষে বাড়িত তো একবার জানেবার দরকার ছিলো! কি কন ঘটক মশাই?”
          পশুপতির এই প্রশ্নের জবাবে কি কবে-- জানে না ঘটক মশাই! ঘাকলাং-ঘিকলিং জবাব দিয়াও লাভ নাই। তাও জবাবটা দিল, “কি আর করিবেন-- যা হবার হয়ায় তো গেইসে। তাছাড়া খালি দেখা-শুনায় তো...”
          “খালি দেখা-শুনায় মানে! ওহ, বেটা এলা মোর বড়ো হইসে! কলেজের প্রফেসার উয়ায়! নিজের ভাল-মন্দ বুঝার ক্ষমতা তো উয়ার আছেই! কি কন...”
          শঙ্কুনাথ শুরু থাকি’ই চুপচাপ দাঁড়ে আছে। এবারে মুখ বন্ধ হইল ঘটক মশাইরও।
          “তা... শঙ্কুর শশুড় বাড়ি কোটে ঘটক মশাই? ”
          “এইতো-- হরিনাথপুর।”
          “কি করে?”
          “ওই তো... দিন-মজুরি...”
          পশুপতিও কথাটা মুখ ভ্যাসেলে কইল,“দিন-মজুরি!”
          তাতে ঘটক মশাই কইল,“ধান কাটি ধরি আসিবেন। নাড়া ওত্তি কি হয় হউক।”
          “আচ্ছা বেশ! তা... ছাওয়াটার পড়াশুনা কতদূর?”
          এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অত সহজ না হয় ঘটক মশাইর পক্ষে। মুখ বন্ধ হয়া গেইল। শঙ্কুনাথ নিজেই উত্তর দিল, “পড়াশুনা করে নাই।”
         “বাঃ বাঃ বাঃ! পড়াশুনাও করে নাই! বেশ। একপাখেও যুদি হামার যোগ্য না হয়, তাহলে নিশ্চয় দেনা-পাওনার ব্যপার আছে...”
          “না, তাও নাই। কিছুই দিবার পাবে না। আর দিলেও মুই নিম না।” শঙ্কুনাথের এই উত্তরটা পশুপতির বুকের ভিতিরা যুনি পাকা ঘাউয়ার মতন বিষ্যি উঠিল!

          পশুপতির অ-মতেই শঙ্কুনাথের বিয়াখান হইল উর্মিলার সাথে। যেকিনা উয়ার কর্তব্য-- মনবিকতা আর ভদ্রতার খাতিরে উকিনা করি চুপচাপ থাকিল। বাপের এমন ব্যবহার আশা করে নাই শঙ্কুনাথ।

          পণ না নিয়ায় হয়তো বিরাট ভুল করিসে শঙ্কুনাথ! বিয়ার পর দিন থাকিই খোঁটা‌ দেওয়া শুরু! দিনে-আতি, যেলায়-সেলায় বিষপোড়া আও শুনির নাগে শঙ্কুনাথোক! কথার জেরা ধরিলেও ফির দোষ! একদিন তো কয়ায় ফেলাইল, “ভাল না নাগে, বাড়ি ছাড়ি চলি যা-- আপত্তি নাই। তোর মতন কুলাঙ্গার বেটা এই বাড়িত থাকার চাইতে না থাকায় ভাল!”... বিয়ার পিড়া থাকি উঠিয়ায় বাপের এত খেচখেচি শঙ্কুনাথের জিনা হারাম করি দিসে! এইবারে হয়তো একটা কথার মতন কথা কইসে। ব্যাস-- সেদিনেই উর্মিলাক সাথে নিয়া বাড়ি ছাড়ি চলি গেইল নিজের ফ্ল্যাট-- যেটে থাকি উয়ায় কলেজ পড়ায়। 

          উর্মিলা কয়, “মোর জইন্যে তোমাক আজি এত অপমানিত হবার নাগিল, হেনা!”
          শঙ্কুনাথ কয়, “ধুর পাগলি!... তোর জইন্যে কেনে হবে! সবে তো মোর কর্মের ফল!”
          উর্মিলা শঙ্কুনাথের গাও ঘ্যাষ্টে বসি কয়, “বাবা (শশুড়) কি মানি নিবে না কুনোদিন?”
          শঙ্কুনাথও উর্মিলার মাথা সত্তে কয়, “কেনে মানি নিবে না পাগলি! অবশ্যই মানি নিবে। হামার দেখা-দেখির সমায় বাবাক জানাং নাই বুলি গোসা হয়া আছে।”
          “মানি নিবে তো?”
          “নিবে রে পাগলি, নিবে।”
          শঙ্কুনাথ গাও ধুবার যায়। উর্মিলা সিদ্ধ ভাত বসায়।

          মাস কয়েক বেটার মুখ না দেখি অস্থির হয়া উঠে মনিমালা। সবে তো ঐ পশু আত্মা স্বোয়ামীটার বাদে! মাঝে মাঝে রাগ উঠি কয়ায় ফেলায়, “য্যামন নাম-- ত্যামন তোমার কাম! একেবারে পশুর আত্মা!”
          পশুপতিও গরম দ্যাখে কয়, “ফালতু কথা কইস না! য্যামন কর্ম ত্যামন ফল।’’
          “তাই বুলি কি বেটা-বৌক বাড়ি ছাড়া হয়া থাকির নাগিবে! নয়া বৌটা কি ভাবিবে হামাক! একবার কি বাড়ি আসির বাদে কবারও পান না!”
          পাঁচটা না হয় দশটা না হয়-- একেনায় সার বেটা। পশুপতিরও মনটা ক্যামন ক্যামন করে। নিজেকে নিজে দুষে, “ভুল করিবারে পারে, তাই বুলি এমন শাস্তি দেওয়াটা উচিৎ হয় নাই, পশুপতি!”

          একদিন মনিমালা বাড়ির চাকর সন্টুক দিয়া খবর পাঠাইল শঙ্কুনাথের ওটে। উয়ায় রুমোত ছিলো না। চুল ছাড়ি দিয়া, আনমনা হয়া বসি আছে উর্মিলা। সন্টু পুছে, “বৌদি, দাদা নাই?”
          হঠাৎ ‘বৌদি’ ড্যাকটা শুনি উর্মিলা চমকি উঠিল। যুদিও বিয়ার পর তিনদিন মাত্র বাড়িত ছিলো-- সন্টুর সাথে পরিচয় হয় নাই। তায় পুছে করিল, “তুই কায়?”
          “মুই সন্টু, বৌদি। গ্রামের বাড়ি থাকি বড়ো মা মানে শঙ্কু দা’র মাও পাঠাইল।”
          মানষিটার সাথে পরিচয় না থাকিলেও নামটার সাথে পরিচয় আছে উর্মিলার। শঙ্কুনাথে এই সন্টুর  খুটিনাটি বর্ণনা দিসে উয়াক। তায়, চিনিতে অসুবিধাও হইল না। খুলা চুল বান্ধি নিয়া সন্টুক রুমের ভিতিরা ড্যাকে নিল। “তোর দাদা তো কলেজ গেইসে, ভাই। আসুক। তুই ততক্ষণে বইস। মুই চা বানাং।” কয়ায় উর্মিলা গ্যাসের চুলাত অগুন নাগে চা বসায়। 

          চা খাইতে খাইতে উর্মিলা পুছে, “বাবা আর মা ক্যামন আছে রে সন্টু?”
          “ভালোয় আছে, বৌদি। চিন্তায় চিন্তায় বড়ো মা’র দেহাটায় কোনেক ভাঙি পড়িসে!”
          “মা’ক না ধরি আসির পালু হয় তে।”
          “বড়ো বা’ক তো জানিসকে তুই। সহজে কি আর আসির দ্যায়! তাও, আজি যে মুই এটে আসিসুং-- একেবারে চুপচুপে। বড়ো বা বিন্দু মাত্র খবর পায় নাই এই ব্যপারে।”
          “হয় নাকি!”
          “হ্যাঁ বৌদি। এই খবর বড়ো বা’র কানোত পৌঁছালে মোর খবর খারাপ আছে!”
          “আচ্ছা, তুই একটা কাজ কর। চটকরি মোড়ের মাথা থাকি মসোং ধরি আয়, যা-- টাকা দ্যাছোং। আর মুই ততক্ষণে ভাত বসাং। তোর দাদাও আসুক...”
          “ধুর বৌদি, মসোং-এর কি দরকার! যা আছে, তা’য় আন্দেক।”
          “বিয়ার পর আজি তুই প্রথম আসিলু এটে, পাগলা। আর মুই থাকিতে ছোট ভাই আসি শুদায় খায়া যাবে-- সেইটা কি আর হয়! যা, তাড়াতাড়ি যায়া আয়। তোর সাথে আরও মেল্লা আলাপ আছে।”
          টাকাটা হাতোত নিয়া সন্টু সোজা মোড়ের মাথা চলি গেইল।

          শঙ্কুনাথ বাড়ি ফিরিলে উর্মিলা এক সাথে খাবার দ্যায় দুই জনোকে। সন্টুক অনেক পুছা-ঘুংটা করে শঙ্কুনাথ। সন্টুও গড়গড় করি জবাব দ্যায়। চাকর তো না হয়-- সন্টু যুনি উয়ার নিজের ভাই। যা চায়, তা’য় পায় সবসমায়।

          বিকালে উর্মিলার প্যাটোত বিষ উঠিলে শঙ্কুনাথের ধকপকি উঠে। সন্টুও টোকটোকি খায়! শঙ্কুনাথের চোখুত জল দেখি উর্মিলা কয়, “এই সমায় কোনেক-আদেক এমন হয়।”
          সন্টু কয়, “দাদা, তুই তাড়াতাড়ি গাড়ি স্টার্ট কর। বৌদিক হাসপিতাল নিগাই।”
          উর্মিলা প্যাটের বিষ অবস্থাতেও হাসি মুখে কয়, “ধুর পাগলা, তুই কিচ্ছু বুঝিস না রে। আর কিছুদিন পর তোর দাদা বাপ হছে, আর তুই কাকা।”
          কথাটা শুনি সন্টুর যুনি আনন্দ ধরে না মনত। এতদিন পর আর একেনা সুখবর। “বড়ো মা এই খবরটা শুনিলে খুব খুশি হবে, বৌদি।”
          “তুই আজিই বাড়ি যাবু নাকি রে সন্টু?” পুছ করে শঙ্কুনাথ।
          “হ্যাঁ দাদা, বড়ো মা’ক যায়া জানের নাগিবে তো। তাছাড়া, বড়ো বা তো জানেই না যে মুই এটে!”
          “শুন, তুই একটা কাজ কর-- এটেটায় থাক কয়েকটা দিন। মুই তো সবসমায় রুমোত থাকির পাং না। তোর বৌদির দেখা-শুনা করিস কোনেক।”
          “কিন্তু... দাদা!”
          “কি কিন্তু রে! বাবা তো-- কিচ্ছু কবে না। মোর কথা কইস।”
          “তাও না। তার বদল একটা কাজ করিলে ক্যামন হয়, দাদা?”
          “কি কাজ রে?”
          “মুই আজি বাড়ি যাং। কালি না হয় বড়ো মা’ক কয়া এটে আরও চলি আসিম।”
          
          সন্টু বাড়ি ফিরিল ঠিক সাঞ্ঝেরক্ষণ। পশুপতি যে জানে না-- তাও কিন্তু না হয়। বাড়ির কায় কি করেছে না করেছে-- সব খবর রাখে। বেটা-বৌয়ের খবর করির গেইসে বুলি জানিয়াও অজানার মতন চুপচাপ থাকে। সন্টু আসি কি খবরটা দ্যাছে-- সেই আশাতে চুপচাপ কান পাতি বসি আছে ঐন্য রুমোত। বেটা-বৌয়ের কাহিনী শুনি চোখুর জল ছলছল করি বিরায় মনিমালার। পশুপতিরও বুকখান হাকাউ করি উঠে। সারা আতি নিন্দিবার পায় নাই দুইটা মানষিয়ে-- বৌমাটার কথা ভাবি!

          পরের দিন মনিমালাক কয়া, সন্টু আরও শঙ্কুনাথের ওটে যাবার ঘাটা ধরিল। মনিমালারও মনটা ধরফর করি আছে যাবার বাদে। কিন্তু পশু আত্মা স্বোয়ামীটা খবরকেনা শুনি যুদি সন্টুকও যাবার না দ্যায়-- তাহলেই তো সর্বনাশ! এই ভয়েই মনটাক বান্দি থুইল।

          ঠিক দুপুরা টাইমে পশুপতিও বাড়ি থাকি সাজি পাড়ি বিরাইল। উয়ায় বাড়ি থাকি বিরাইলে আগের থাকি কাহ পুছ করে নাই-- কোটে যাছে, না-যাছে।

          ঘন্টাখানেকের মইধ্যে পশুপতিও পৌঁছাইল শঙ্কুনাথের ফ্ল্যাট। উর্মিলা সন্টুর সাথে বসি গল্পে-স্বল্পে লুডো খেলাইতে ব্যস্ত। দূর থাকি দাঁড়ে দাঁড়ে কিছুক্ষণ দেখি নিল বৌমাক। গালা খ্যাকেরে একটা ড্যাক দিল, “শঙ্কু রে...”
          পশুপতির গালার আওয়াজ শুনি সন্টু ভয়ে একটা রুমের ভিতিরা দৌড় মারিল। উর্মিলাও ফটাফট খারা হয়া কইল, “বাবা তোমরা! আইসো, ভিতর আইসো।”
          পশুপতি ভিতর ঢুকিলে উর্মিলা ঠ্যাঙ ছুঁইয়া ভক্তি দিবার যায়। পশুপতি কোনেক সরকি যায়া কয়, “এই সমায় ভক্তি-টক্তির দরকার নাই, বৌমা। কুলাঙ্গারটা নাই!”
          উর্মিলা বুঝি নিসে-- কার কথা কইল। “তোমার বেটা তো কলেজ গেইসে। আসিতে কোনেক দেড়ি হবে।”
          “একটা কাজ করো তে, বৌমা। তাড়াতাড়ি রেডি হও। বাড়ি চলো।”
          “বাড়ি!”...খুব আস্তে কথাটা উচ্চারণ করিল উর্মিলা। “চা খাও বাবা, বইসো। মুই চা বানে আনোং।”
          “চা-টা ঐলা বাদ দ্যাও। হাঁটো তাড়াতাড়ি।”
          উর্মিলা আগোত এক কাপ চা বানে উয়ার শশুড়ের হাতোত দিল। তারপর একটা রুমের ভিতিরা ঢুকিল।

          কিছুক্ষণ পর উর্মিলা সাজি পাড়ি বিরি আসিল। পশুপতি কয়, “চলো...”
          উর্মিলা খানেক থতমত হয়া কইল, “তোমার বেটা যে এলাও আইসে নাই, বাবা!”
          চিন্তার কিছু নাই, বৌমা। একটা কুলাঙ্গারোক তো দেখিলুং রুমের ভিতিরা। উয়ায়ে সব কবে হুটা কুলাঙ্গারোক। দুইটায় ন্যাটো অঠে আপনে বাড়ি দৌড়াবে।”

          যেই শশুড় একবার বাড়ি থাকি নিকিলি দিসে, সেই শশুড়ের সাথেই উর্মিলা আজি বাড়ি পৌঁছাইল। নিজের ‘স্বাভিমান’ বজায় রাখির বাদেই পশুপতি সিংহ বাঘের মতন ডিকিরি উঠিল, “কোটে রে শঙ্কুর মাও... দ্যাখ একবার কায় আসিসে।”
           বৌমাক দেখিয়ায় মনিমালা খুব খুশি। আসিসে নাকি যায়া আনিসে-- বুঝি নিতেও অসুবিধা হইল না উয়ার। মনে মনে ভাবিল, “যাবার তো গেইসে সেই ম্যাঁও ম্যাঁও বিলাই সাজি-- আর বাড়ি আসি ডিকিরেছে বাঘার মতন! যত সব...” 

          কথা কইলেই কথা বাড়িবে। কাজে আর কিছু না কয়া, ফটাফট চাইলোনবাতি সাজে আনি ঘরের লক্ষ্মীক আর একবার বরণ করি নিল মনিমালা।

তারিখ: 01.10.2021

Post a Comment

0 Comments